নববর্ষে সিদ্ধিদাতার কৃপায় সিদ্ধিলাভ আদৌ এবার কতটা ? ধোঁয়াশা ব‍্যবসায়ী মহলে

4th April 2020 বর্ধমান
নববর্ষে সিদ্ধিদাতার কৃপায় সিদ্ধিলাভ আদৌ এবার কতটা ? ধোঁয়াশা ব‍্যবসায়ী মহলে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে লকডাউনে গোটা দেশ । মানুষ গৃহবন্দী । অত‍্যাবশ‍্যকীয় পন‍্য ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ । বাজারে বাজারে শূন‍্যতা । বাংলা বছরের চৈত্র মাসে লাটে উঠেছে সেলের বাজার । বর্ধমান , মেমারী , কালনা , কাটোয়া শহর সহ বিভিন্ন গ্ৰামীন এলাকার বাজারে চৈত্র সেলের কোনো হদিশ নেই । প্রশাসনিক নির্দেশ মেনেই চলছে লকডাউন । এবার চৈত্র মাসের অর্ধেক শেষ আর দিন কয়েক পরেই বর্ষবরণ ! বাঙালির নষ্টালজিয়া লাল মলাটের খাতা আর গনেশ লক্ষীর মূর্তি নিয়ে নতুন বছরের আগমন কিভাবে তা ভেবে উঠতে পারছেন না ব‍্যবসায়ীরা । পয়লা বৈশাখে ব‍্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পুজোর আয়োজন আদৌ সম্ভব কিনা তাও বিশ বাঁও জলে । মৃৎ শিল্পীরাও হতাশ করোনার আক্রমণে । যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে আদৌ মূর্তি বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে । দোকানে দোকানে পুজোর আয়োজন মানেই বিঘ্নিত হবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা । কারন তার আগে পুজোর জোগাড় করতে হলে ফলবাজার , ফুল বাজার , দশকর্মার দোকান খোলা থাকাও দরকার । আনুষঙ্গিক অনান‍্য দ্রব‍্য তো আছেই । সব মিলিয়ে ঘোর আশঙ্কায় বর্ষবরণ ! বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা । বর্ষবরণে সাধারণ মানুষের ঢল নামে । জেলা ছাড়াও আশপাশের গ্ৰাম থেকে মানুষ আসেন দেবীর কাছে । এবার তা বন্ধ । মন্দিরে কোনোভাবেই ভীড় করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । ২১ দিনের লকডাউনের মধ‍্যেই প্রধানমন্ত্রী ৯ মিনিট ধরে মোমবাতি জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছেন । জনশক্তিকে একত্রিত করার দাওয়াই দিয়েছেন নমো । কিন্তু বাজারের কি হবে ? আর্থিকভাবে ভেঙে পড়া অর্থনীতি কি দিয়ে চাঙ্গা হবে ? মানুষের জীবনযাত্রা কবে স্বাভাবিক হবে ? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই । তাই বাংলা বর্ষবরণের সামনে আপাতত ঘোর অনিশ্চয়তার মেঘ । সিদ্ধিদাতার মুখ ভার ! কুমোড়পাড়ায় শয়ে শয়ে তৈরী হয়ে রয়েছে গণপতির মূর্তি । লাল মলাটের খাতাও সম্ভবত এবার সিন্দুকেই বন্দী থাকছে । তবুও সিদ্ধিদাতার দিকে তাকিয়েই সিদ্ধিলাভের আশায় দিন গুনছেন ব‍্যবসায়ীরা । রবি গানে ফের মুখরিত হবে " এসো হে বৈশাখ এসো এসো " !  করোনার জট কাটিয়ে বাংলা ফিরতে চাইছে বর্ষবরণের আনন্দে । সময় হয়তো এর উত্তর দেবে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।